, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


ফুরফুরা শরিফের উন্নয়নে ৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

  • আপলোড সময় : ০৩-০৮-২০২৩ ০৫:০৩:২৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৩-০৮-২০২৩ ০৫:০৩:২৮ অপরাহ্ন
ফুরফুরা শরিফের উন্নয়নে ৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফাইল ছবি
পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার ফুরফুরা শরিফের উন্নয়নে ৭৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা (৫৮ কোটি ৬২ লাখ রুপি) বরাদ্দ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এ তথ্য জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের পৌর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

মন্ত্রি আরও জানান, ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদ নামের একটি সরকারি সংস্থা উন্নয়ন কার্যক্রম এবং এই অর্থের দেখভালের দায়িত্বে থাকবে।

ফিরহাদ তার বক্তব্য শেষ করার পর ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ও ভাঙড়ের বিধায়ক পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকি প্রশ্ন তোলেন, ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদের অফিস কোথায়? জবাবে ফিরহাদ বলেন, ‘এখনও কোনও অফিস আমরা পাইনি। ওখানে একটা পরিত্যক্ত জায়গা পাওয়া গিয়েছে, সেখানেই অফিস হবে। ফুরফুরা শরিফের গেটের পাশে যে জমি রয়েছে সেখানেই অফিস, মুসাফিরখানা হবে। আপাতত শ্রীরামপুরে মহকুমা শাসকের অফিস থেকে কাজ চলবে পর্ষদের।’

পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ইসলাম ধর্মালম্বীদের কাছে ফুরফুরা পবিত্র তীর্থস্থান। সেখানকার পীরজাদা তথা হুজুরদের ঘিরে আবেগও তেমনই। সারা বছর রাজনীতিকদেরও যাতায়াত লেগে থাকে হুগলির জাঙ্গিপাড়া ব্লকের এই জনপদে। অনেকেই মনে করেন, বিভিন্ন দলের রাজনীতিকদের ফুরফুরায় যাওয়ার পিছনে সংখ্যালঘু ভোটের অঙ্ক থাকে। সিপিএম আমল থেকেই এটি চলে আসছে। একটা সময়ে হুগলির প্রয়াত সিপিএম নেতা সুনীল সরকার দলের পক্ষ থেকে ফুরফুরার সঙ্গে ‘সমন্বয়’রাখতেন।

২০০৮ সাল থেকে বদলাতে শুরু করে এই চিত্র। ফুরফুরার পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গে তৃণমূলের তৎকালীন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের সম্পর্ক এবং ঘনিষ্ঠতা রাজ্য রাজনীতিতে সুবিদিত ছিল। সে সময় আনুষ্ঠানিকতা সারতে অন্য দলের নেতারা গেলেও ফুরফুরা কার্যত তৃণমূলের হয়ে গিয়েছিল বলেই প্রচার হয়ে গিয়েছিল। ওই বছরই গঠন করা হয় ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদ, আর তার চেয়ারম্যান হন ফিরহাদ।